বাগেরহাটে ভবনে ভয়াবহ আগুন, এক নারীর মৃত্যু

এখন জনপদে
0

বাগেরহাটে পাঁচতলা একটি বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ভবনের হাসপাতালে থাকা অন্তত ৪৪ জন রোগী। পুড়ে ছাই হয়েছে ভবনটির নিচতলার একটি বেসরকারি ব্যাংকের উপশাখাসহ অন্তত ছয়টি দোকান।

আজ (সোমবার, ৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা বাগেরহাটের চিতলমারীতে মাইশা টাওয়ারে। যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে পাঁচতলা ভবনের নিচতলায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে চিতলমারী উপজেলা সদরের মাইশা টাওয়ারে নিচ তলায় ঘটে আগুনের সূত্রপাত। এ সময় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পাঁচতলা ভবনের অন্তত চারটি ব্যাংকের শাখা অফিসসহ আবাসিক বাসাবাড়িতে। সেসময় খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটসহ আগুন নেভাতে যোগ দেন সেনাবাহিনী ও পুলিশ। তবে আগুনের তীব্রতা বেশি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়।

পরে চার ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। এসময় পুড়ে যায় ভবনের নিচতলায় থাকা এমআরএম ফ্যাশনসহ বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভবনের দুই তলায় থাকা সোনালি ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়াসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। এদিকে তীব্র ধোয়ায় এসময় ভবনের তিনতলায় থাকায় সুস্বাস্থ্য ও পরিচর্যা ক্লিনিকের রোগীসহ অন্তত ৪৪ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমনকি শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয় হাসপাতালের এক নারী কর্মীর। এছাড়া আহত হন উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া একজন ফায়ার সার্ভিস কর্মীও।

ভবনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন বলেন, 'এখানে কয়েক কোটি টাকার পণ্য ছিল, লাখ না। সব পুড়ে গেছে।'

খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. আবু বক্কর জামান বলেন, 'এই ভবনের নিচতলায় আগুন ছিল। এবং নিচতলার আগুন এত ব্যাপক ছিল যে বাইরে থেকে মনে হচ্ছিল পুরো ভবনে আগুন লেগেছে।'

আহতদের উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।

এসএস