আজ (শনিবার, ২৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লঞ্চঘাটগুলোতে এই অভিযান পরিচালনা করেন অভিযান ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফয়েজ উদ্দিন।
অভিযানে আরিচা লঞ্চ ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে লঞ্চ মালিক নজরুল ইসলামকে ৫ হাজার টাকা, দীপু মিয়াকে ৬০০ টাকা এবং মো. লিটনকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া, পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটে একই অপরাধে মেসার্স সাইম শিপিং লাইন্সের ম্যানেজার আমজাদ হোসেনকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আরো পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ মাঠে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
এ প্রসঙ্গে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার পান্না লাল নন্দী বলেন, 'যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী উঠতে প্রতিনিয়ত নিষেধ করা হলেও যাত্রীরা দৌড়ে লঞ্চে উঠে যায়।'
অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফয়েজ উদ্দিন বলেন, 'জনসুরক্ষার স্বার্থে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে। আমরা চাই না ঈদযাত্রায় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটুক। লঞ্চে ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর বিভিন্ন ধারায় চারজনকে ২১ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা ও আদায় করা হয়। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।'
আরো পড়ুন: উত্তরের ঈদযাত্রা: মহাসড়কে ডাকাত আতঙ্কে উদ্বিগ্ন যাত্রী-পরিবহন চালকরা
উপজেলা প্রশাসনের এই অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় যাত্রীরা। তাদের মতে, অতিরিক্ত যাত্রী বহন বন্ধ হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা কমবে এবং ঈদযাত্রা আরও নিরাপদ হবে।