দেশজুড়ে চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে স্থবির অবস্থায় রয়েছে পরিবহন খাত। নৌযান চলাচলও এখনো পুরোপুরি চালু হয়নি। আর্থিক সংকটে রয়েছে নৌশ্রমিকরা। লঞ্চ মালিকরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশি-বিদেশি নৌবাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার প্রভাব পড়বে অর্থনীতির ওপর।

দিন দিন রাজধানী ঢাকার চাহিদা বেড়েই চলেছে। চাকরিজীবী, সেবাগ্রহীতা কিংবা রোগী দেশের সকল নাগরিকের ভরসার শেষ জায়গা যেন রাজধানী ঢাকা। নানা কারণে, প্রয়োজনে, নানা স্বার্থে ঢাকা যেন হয়ে উঠছে রোজগারের নগরী হিসেবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর জন্য দায়ী ঢাকাকে কেন্দ্রীয়করণ করার নীতি। বারবার বলা হলেও কিংবা পরিকল্পনা নেয়া হলেও ঢাকাকে এখনও বিকেন্দ্রীকরণ করার উদ্যোগ নেয়নি সরকার। যদিও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলছেন, ঢাকামুখীতা নিরুৎসাহিত করতে শহরের নাগরিক ট্যাক্স কয়েকগুন বাড়িয়ে দিতে হবে।

প্রতিবছরই ঈদযাত্রা মাথায় রেখে ঢেলে সাজানোর কথা বলে থাকে সড়ক ও নৌপরিবহন বিভাগ। তারপরেও স্বস্তি মেলে না পথে। ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে যাত্রীচাপ না থাকলেও সড়কপথে কয়েকগুণ। বেশকিছু রুটে বেড়েছে বাস ভাড়াও।

দেশের সর্ব দক্ষিণের দ্বীপ জেলা ভোলায় মেঘনা, তেতুলিয়াসহ রয়েছে অসংখ্য নদী। এসব নদী ঘিরে গড়ে উঠেছে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবসা-বাণিজ্য।

ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুরে লঞ্চ-কার্গোর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গত রাতে মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ ও একটি কার্গো জাহাজের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।