পেট্রোল পাম্প মালিকদের ডাকা হঠাৎ ধর্মঘটে জ্বালানি তেল না নিয়েই ফিরে যেতে হয়েছে নাটোর শহরের বেসরকারি ক্লিনিকে চাকরিরত যুবায়েরকে। এখন চলাচল নিয়ে দুশ্চিন্তায় তিনি।
বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কে প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে হঠাৎ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘাটের ডাক দেয় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রোল পাম্প মালিকরা। এতে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় তেল বিক্রি, উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়। কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এমন ধর্মঘটে বিপাকে পড়েন পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টরা।
জ্বালানি তেল বিক্রি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন বগুড়ার কর্মজীবী মানুষ ও যানবাহনচালকরা। পাম্পে এসে জ্বালানি তেল না পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, রংপুর বিভাগেও পেট্রোল পাম্পগুলোতে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের জ্বালানি বিক্রি। ঘোষণা অনুযায়ী আটটা থেকে এই ধর্মঘট পালন করছেন পাম্প মালিকরা। যেসব পরিবহন ৮টার আগে পাম্পে পৌঁছায় তারাই কেবল তেল নিতে পেয়েছে। ধর্মঘটের খবর না জানায় তেল নিতে না পেরে দূরপাল্লার ট্রাক চলাচল অনেকটাই বন্ধ হয়ে গেছে।
একই অবস্থা রাজশাহী বিভাগেও। তেল নিতে না পেরে ফিরে যেতে হয় গাড়ির চালকদের।
এদিকে, ধর্মঘটের অংশ হিসেবে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা বাঘাবাড়ি ওয়েল ডিপো থেকে তেল উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন পাম্প মালিকরা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ডিপোর কার্যক্রম।
সংকট নিরসনে বগুড়ায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনের সাথে পাম্প মালিকদের বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজাকে বলেন, ‘আমরা আলোচনা করব এবং রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে মেপেছে। আমাদের থার্ড পার্টি এসি ল্যান্ড অফিস সাড়বে ও তারা মেপে দিবে একুরেটলি উনারো লোকজন থাকতে পারে। আমরা মেপে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।’
এর আগে, গতকাল বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের দু'পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালায় প্রশাসন ও সড়ক জনপথ অধিদপ্তর। এতে ভাঙা পড়ে দু'টি পেট্রোল পাম্পের যন্ত্রাংশসহ কিছু অংশ।