২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল লাঠিসোটা হাতে এভাবেই আক্রমণ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের ডিসি পার্কে। এক পর্যায়ে ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকেও চলে তাণ্ডব৷ ভাঙচুর করা হয় ফুলের টব, দোকানপাট। পরে পাল্টা ধাওয়া করে পার্কের কর্মীরাও।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন বেশ কয়েকজন। প্রধান ফটকের টিকিট কাউন্টারও ভাঙচুর করা হয়। লড়ি চালককে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ বলে জানা যায়। কথা কাটাকাটির জেরে এক লড়ি চালককে মারধর করে পার্কের কর্মীরা। পরে চালকরাও সংগঠিত হয়ে পাল্টা আক্রমণ করে।
এদিকে এ ঘটনার জেরে চট্টগ্রাম কাস্টমস সংলগ্ন বন্দরের সিপিআর গেইটের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে প্রাইমমুভার চালকরা। মূল সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেন তারা। চালকদের মারধরকারীদের গ্রেপ্তার ও পার্কের ফুল উৎসব বন্ধের দাবী জানান তারা।
শ্রমিকদের আন্দোলনে সড়কের দুইপাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। উপায় না দেখে হেঁটেও গন্তব্যে রওনা হন তারা। মধ্য রাতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর,দুটি ইপিজেডকে যুক্তকারী নগরীর প্রধান এই সড়কটি ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেন নেতারা। কর্মবিরতি চলমান রেখে সকালে বন্দর গেইটে অবস্থানের ঘোষণা দেন।
তবে নেতাদের এ বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে সড়ক থেকে উঠে যেতে অস্বীকৃতি জানান শ্রমিকরা। বরং আরও উত্তেজিত হয়ে সড়কে মাঝে সড়ক বিভাজক ফেলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন তারা।