অন্যান্য
সংস্কৃতি ও বিনোদন
0

কিশোরগঞ্জের আলপনা গিনেস বুকে তোলার আশা

নববর্ষে বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের স্ফুরণ দেখা যায় আলপনায়। যেখানে উঠে আসে আবহমান বাংলার সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গ। এবার কি‌শোরগ‌ঞ্জ হাওরের ১৪ কিলোমিটার সড়কে আঁকা হ‌য়েছে দে‌শের সব‌চে‌য়ে বড় আল্পনা। যা গিনেস বুক রেকর্ডে নাম লেখাবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা।

দিগন্তজোড়া সবুজের দৃষ্টিনন্দন ওলওয়েদার রোড। আর এই সড়কের সৌন্দর্য আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আঁকা আল্পনা।

হাওরের বুকে সড়কজুড়ে আঁকা হয়েছে এটি। টানা দুইদিন সাড়ে ছয়শ' শিল্পী দিনরাত প‌রিশ্রম ক‌রে ফু‌টি‌য়ে তুলেছেন এ শিল্পকর্ম। মিঠামইন জি‌রো প‌য়েন্ট থে‌কে অষ্টগ্রাম জি‌রো প‌য়েন্ট পর্যন্ত র‌ঙিন আল্পনায় যেন হাওরের সবুজ ক্যানভাসে ব‌র্ণিল চিত্রপট।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে মিঠামইন জিরো পয়েন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, 'আমার বিশ্বাস দীর্ঘতম এই আলপনা হাওরের পর্যটন শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করবে। ১৪ কিলোমিটার আলপনায় আমরা যখন গিনেস বুকে স্থান করে নিতে পারবো, তখন কিন্তু এটি আন্তর্জাতিকভাবে আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হবে।'

পহেলা বৈশাখে হাওরের আলপনা ঘরে দেখতে পর্যটকদের ভিড়। ছবি: এখন টিভি

দুপুরে আলপনার রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয় সর্বসাধারণের জন্য। স্থানীয়রা ছাড়াও আশেপাশের জেলার ভ্রমণপিপাসুরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিলেন হাওরের বুকচিরে চলা সড়কের আল্পনার সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

এই শিল্পকর্মটি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ আলপনা বলে দবি করেন চিফ কর্পোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান। বলেন, 'এটা গিনেস বুক রেকর্ডে যাবে বলে আশা করছি। আগে শুধুু ঢাকাতেই আলপনা করতাম। কিন্তু এখন খুলনা ও মিঠামইনে হচ্ছে।'

এদিকে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিওয়ে বরেণ্য শিল্পীদের পাশাপাশি তরুণ চারু শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষ সবাই মিলে একযোগে আঁকলেন দুই কিলোমিটার দীর্ঘ আলপনা। বর্ণিল এই আলপনার মাধ্যমেই নতুন বছরকে স্বাগত জানান তারা।