অন্যান্য
সংস্কৃতি ও বিনোদন
0

দিনভর মানুষের পদচারণায় মুখর ছিল চিড়িয়াখানা

ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর জাতীয় চিড়িয়াখানা পরিপূর্ণ ছিল মানুষের আনাগোনায়। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী সব বয়সের মানুষ ঈদ উদযাপনে ভিড় করেছেন বিনোদন কেন্দ্রটিতে। প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষের পদচারণায় মুখরিত চিড়িয়াখানা প্রাঙ্গণ।

চিড়িয়াখানায় খাঁচার ভেতর এই সাদা বাঘিনীর নাম জুঁই, বয়স ২ বছর। খাঁচার ভেতর থাকলেও চোখ দেখলেই বোঝা যায় বাঘিনীর ক্রোধ খাঁচা ভেদ করবে।

সচরাচর গায়ের রঙ হলুদ থেকে হালকা কমলা রঙের বাঘ দেখেই অভ্যস্ত সবাই কিন্তু জাতীয় চিড়িয়াখনায় এই সাদা রঙের বাঘিনী নজর কাড়ছে ছোট বড় সবার।

একজন দর্শক বলেন, 'এই প্রথম সাদা রঙের বাঘ দেখলাম। এর আগে কখনও দেখিনি এমন বাঘ। পরিবারের সবাইকে নিয়ে এসে দেখছি চিড়িয়াখানা ঘুড়ে ঘুড়ে।'

এদিকে বানর ব্যস্ত খাওয়া দাওয়ায়, এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে যাওয়া আর লাফালাফি। এসব দেখতেই ভিড় করছেন ছেলে বুড়ো সবাই।

এক শিশু দর্শক বলেন, 'বাঘ, হাতি, সিংঘ দেখবো। কিন্তু ময়ূর আমার পছন্দ। আমি বাবার সাথে এসেছি চিড়িয়াখানায়।'

ঈদের দিন নানা ব্যস্ততায় অনেকেই বাসা থেকে বের হতে পারেন না। দ্বিতীয় দিনে তারাও চেষ্টা করেন কোনো বিনোদনকেন্দ্রে যেতে। এরমধ্যে জাতীয় চিড়িয়াখনায় ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি। শুক্রবার ২ লক্ষাধিক দর্শনার্থীর আগমণ ঘটে চিড়িয়াখানায়।

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, '২ লাখ ২০ হাজারের মতো দর্শক আজকে চিড়িয়াখানায় আসবেন। তারা যেন নিরাপদে চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করতে পারেন সেজন্য আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা নিয়মিত কাজ করছেন এখানে।'

এছাড়াও আছে হরিণ, জিরাফ, পেলিকান পাখি, উঠপাখি, কুমিরসহ নানা ধরনের পশু-পাখি। চিড়িয়াখানায় বন্যপ্রাণি সংগ্রহ করে সংরক্ষণের মাধ্যমে মানুষের চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর