আন্দোলনের বিপক্ষে থাকা শিল্পীদের নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে ‘আলো আসবেই’ নামে একটি গ্রুপ খোলা হয়েছিল। বিপক্ষে থাকা দলের নেতৃত্বে ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত ও চিত্রনায়ক রিয়াজ। গ্রুপের বাকি সদস্যদের মধ্য ছিলেন অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি, তানভীন সুইটি, সোহানা সাবা, অরুণা বিশ্বাস, অভিনেতা সাজু খাদেমসহ আরও অনেকে।
সম্প্রতি গ্রুপে থাকা শিল্পীদের কথোপকথনের কিছু স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জারে ফাঁস হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর) নাট্যনির্মাতা ইমেল হক তার ফেসবুক প্রোফাইলে কথোপকথনের স্ক্রিনশটগুলো প্রকাশ করেন। যেখানে আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি ঢেলে দেয়ার মতো ভয়ংকর কথা বলার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম পানি’ ঢেলে দেয়ার কথা বলেন।
অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আগুন। ফায়ার সার্ভিস ও গণমাধ্যম কর্মীদের ঢুকতে দিচ্ছে না টোকাই জামায়াত শিবিরের মেধাবী আন্দোলনকারীরা।
মূলত তার মেসেজের উত্তরেই শিক্ষার্থীদের ওপর গরম জল দেয়ার কথা জানান অরুণা বিশ্বাস।
আরেক মেসেজে অভিনেত্রী তানভীন সুইটি বলেন, কোনোভাবেই পিছু হটা চলবে না। আমরা কখন কিভাবে কোথায় একত্রিত হবো সেটা আমরা সবাই মিলে ঠিক করে বের হবো। জয় বাংলা।
আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ফেসবুকে তার দেয়া একটি পোস্ট নিয়েও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সমালোচনা করা হয়। স্ট্যাটাসের বিষয়ে ফারুকীকে ‘অসভ্য’ বলে অভিনেত্রী সোহানা সাবা।
অন্যদিকে লিমন আহমেদ নামের এক বিনোদন সাংবাদিক বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় বসে আল-কায়দার মতো জ্ঞান দেয়া হচ্ছে। তার মতো নোংরা, লোভী, হিংসুটে, হিংস্র, স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক মেধাবী নির্মাতা এই মহাদেশে আর আসেনি, আসবেও না।
ফাঁস হওয়া স্ক্রিনশটের বিষয় নিয়ে ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠেছে। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে নির্মাতারাও এ ঘটনায় আওয়াজ তুলেছেন। অনেকেই তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।