শীতের শেষে ফাগুনের আমেজ প্রকৃতিতে। যেন মোহনীয়তা ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। ফাগুনের রৌদ্রস্নাত নীল আকাশে উড়ছে ঘুড়ি।উৎসবের শুভ্র কাগজের আবেশ যেন দখলে নিয়েছে পুরো আকাশ। এরকম দৃশ্যের দেখা মেলে না সহসাই। শৈশবের স্মৃতি যেন বিস্তীর্ণ আকাশে খেলা করছে ঘুড়ির ভোকাট্টা ছুটের মতো।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ই-বিজনেস ক্লাবের আয়োজনে এই শীতকালীন পিঠা উৎসব। দিনব্যাপী এই আয়োজনে প্রায় ২৬টি স্টলে রয়েছে হরেক রকম পিঠাপুলি, দেশিয় ও হস্তশিল্পজাত পণ্য। সঙ্গে বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা নিয়ে সাজানো হয়েছে অনুষ্ঠানটি। দর্শনার্থী ও শিক্ষার্থীরা বেশ উচ্ছ্বসিত এমন আয়োজনে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, 'খুবই ভালো লাগছে কারণ এইটা আমার জন্য প্রথম। আমি চাই প্রত্যেক বছর এমন ভালো ভালো আয়োজন হোক।'
সচরাচর শীতকালীন পিঠা উৎসবে বৈচিত্র্যতা থাকলেও অনুষ্ঠানের ব্যতিক্রমী আয়োজন ছিলো ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতা। ঐতিহ্যবাহী খাবার ও নানা আয়োজনের রেশ ও শৈশবের বর্ণিল স্মৃতির আমেজকে ফিরিয়ে আনতেই এমন আয়োজন।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ই-বিজনেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মো. আলাউল হক বলেন, 'এখন বর্তমানে স্মার্ট বাংলাদেশ হচ্ছে। সেখানে বিজনেসগুলো স্মার্ট যাতে করা যায়, আমাদের স্টুডেন্ট বর্তমান এবং সাবেক যারা আছে তারা যেন ই-কমার্সের মাধ্যমে বিজনেস করতে পারে, সাথে আমাদের দেশিয় পণ্য নিয়ে বিজনেস করে, সেই দিকে আগ্রহ বাড়াতে চাই।'
কালের বিবর্তনে ম্লান হওয়ার পথে ঘুড়ি উৎসব। সেই সুবাদেই বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এমন উদ্যোগ বলে জানান আয়োজকরা।
মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির মেম্বার বোর্ড অব ট্রাস্টিজ জান্নাতুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের ছোটবেলা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আমাদের দেশে তো বারো মাসে তেরো পার্বণ। সবাই ঘুড়ি উৎসবকে একটা স্কোপ দেন।'
উৎসবে বাড়তি মাত্রা যোগ করতে দিনব্যাপী চলে নানান সাংস্কৃতিক আয়োজন।