গতকাল (বুধবার, ২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্যাখালী গ্রামের পান ব্যাপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ভিকটিমকে ঢাকা নেয়ার পথে দিবাগত রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত সাব্বির উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামেশ্বপুর গ্রামের তাজু ড্রাইভার বাড়ির মো. লিটনের ছেলে।
এ ঘটনায় আটকরা হলেন— উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের পান ব্যাপারী বাড়ির মো. সিরাজের ছেলে আব্দুর সোবহান শামীম (৩০) ও তার স্ত্রী ফারহানা আক্তার (২৩)।
নিহতের বন্ধু আনোয়ার হোসেন শাকিল বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে ৪-৫ দিন আগে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্যাখালী গ্রামের পান ব্যাপারী বাড়ির আমার খালা মানোয়ারা বেগমের খেতের লাউ গাছ গোপনে কেটে ফেলে তার দেবর শামীম। তিনি বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা তাকে হাতেনাতে ধরতে পরামর্শ দেন। এরপর গতকাল বিকেলে খালার মরিচ গাছের চারা কেটে ফেলার সময় তিনি তার দেবর শামীমকে দেখে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শামীম আমার খালাকে মারধর শুরু করে।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে আমি আমার বন্ধু সাব্বিরসহ আমার খালার বাড়িতে গিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠাই। এরপর আমরা আমার খালার বসতঘরে তালা দিয়ে চলে আসার পথে শামীম আমাদের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, মহিলারা-মহিলারা গণ্ডগোল হয়েছে, তিনি কিছু করেননি। এরপর আমরা কেন এসেছি বলেই ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম তার হাতে থাকা দেশিয় অস্ত্র দিয়ে সাব্বিরকে মাথায় কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মারা যান তিনি।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহীন মিয়া বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে মাথায় কুপিয়ে ওই তরুণকে গুরুতর আহত করা হয়। পরে ঢাকায় নেয়ার পথে সে মারা যায়।’





