শেখ ফয়েজ আহম্মেদ ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট এলাকার শেখ মানিকের ছেলে। এছাড়াও ফরিদপুর সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
ছাত্রনেতারা জানান, ২৪ সালের জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ফরিদপুরের তথাকথিত সাংবাদিক শেখ ফয়েজ সরাসরি ছাত্র আন্দোলনের বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে থেকে ছাত্র-জনতার ওপর ফরিদপুরের হামলায় অংশ নেন। ৫ আগস্টের পরে শেখ ফয়েজ পালিয়ে যায়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সোহেল রানা বলেন, ‘ফরিদপুরের ছাত্র-জনতা এর মধ্যে তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে ফয়েজের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কীভাবে এমন মানুষ সমাজে এখনও ঘুরে বেড়ায়। আমরা বাধ্য হয়ে আজ তাকে সামনে পেয়ে ধরে ফেলি। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।’
আরও পড়ুন:
ফরিদপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কাজী রিয়াজ বলেন, ‘চব্বিশের আন্দোলনে শেখ ফয়েজ ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করেছে, সে ওই মামলার একজন অন্যতম আসামি। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে ফরিদপুর প্রেসক্লাব তাকে বহিষ্কারও করে এত কিছুর পরও শেখ ফয়েজ প্রতিনিয়ত সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে যাচ্ছিল। ফরিদপুরের পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করায় আমরা সন্তুষ্ট। ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা সব সময় আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করবো।’
অভিযোগ রয়েছে তারপর থেকে দীর্ঘদিন পলাতক এ আসামি ফয়েজ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ নিয়ে শহরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়।
ফরিদপুরের সাংবাদিক এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জুলাই হামলার একজন আসামিকে চার সমন্বয়কের এ কর্মকাণ্ড শহরে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এতে জুলাই আন্দোলনের স্বপক্ষের শক্তিকে বিব্রত করেছে। ফয়েজকে গ্রেপ্তার করায় আমরা স্বস্তি প্রকাশ করছি। আইন অনুযায়ী তার ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে প্রত্যাশা করি।’
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর সরাসরি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি শেখ ফয়েজ। ফরিদপুর কোতয়ালী থানা পুলিশ তাকে খুঁজছিল। পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে ফরিদপুর শহরের আলীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’





