নিহত চঞ্চল গাজীর স্বজনরা জানান, প্রতিবেশি রবিউল ও বেলাল মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তারা চোর সিন্ডিকেট চালায়। আজ সকালে রবিউল একজনকে তাদের বাড়ির সামনে ডেকে মাদক লেনদেন করছিলেন। এসময় চঞ্চলের বাবা মধু গাজী বাধা দেন। এ নিয়ে তর্ক শুরু হলে সেখানে চঞ্চল ও তার ভাই তুহিন আসেন। এসময় রবিউল, তার ছেলে মুন্না ও ভাই বেলালসহ লোকজনকে ডেকে আনেন।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দু’পক্ষের সাতজন আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক চঞ্চলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিলো। অন্য আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
প্রতিপক্ষ রবিউল ইসলামের দাবি, তিনি ইন্টারনেট ব্যবসায়ী পিয়াসের সঙ্গে লাইনের সমস্যা নিয়ে কথা বলছিলেন। এসময় মধু গাজী এসে গালিগালাজ ও চর থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এরপর গোলযোগের সূত্রপাত হয়। তিনি প্রতিবেশি সাদ্দামের বাড়িতে ঢুকে পড়েন।
এসময় সাদ্দাম ধারালো অস্ত্র নিয়ে বের হয় মারপিটে জড়িয়ে পড়েন। এরপর তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বলে জানান।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক তদন্ত কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ‘কী নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় হত্যায় অভিযুক্ত তিনজনসহ উভয় পক্ষকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’




