রাউজানের গ্রামের বাড়ি থেকে নিজের ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারে চড়ে বিকেলে শহরে ফিরছিলেন ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম। হালদা নদীর ওপরে নির্মিত হাটহাজারীর মদুনাঘাট ব্রিজের উপরে পৌঁছালে ফিল্মি কায়দায় ৫ থেকে ৬ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত এলোপাথাড়ি গুলি করতে থাকে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গাড়ির সিটেই লুটিয়ে পড়েন আব্দুল হাকিম। গুলিবিদ্ধ হন গাড়ির চালক ইসমাইল। তবে, ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান আব্দুস শুক্কুর নামে গাড়িতে থাকা আরেক ব্যক্তি। পরে, আব্দুল হাকিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আবদুল হাকিম, বিএনপির গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী হলেও সক্রিয় ছিলেন না বলে জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আব্দুল হাকিম কখনো কোনো কিছুর সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন:
গুলিতে নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালে ছুটে আসেন স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা। স্বজনদের কান্নায় শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয় হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। বিএনপি নেতাদের দাবি, একটি গ্রুপের উস্কানিতে বিএনপির নামে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ রাউজানকে অস্থির করতে এসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে।
ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব কিংবা দলীয় কোন্দলের জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা স্বজনদের। তবে, কে বা কারা এই হত্যার পেছনে রয়েছে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু বলতে পারেনি তারা।
নিহতের বড় ভাই বলেন, ‘কেন আমার ভাইকে হত্যা করলো তা তো জানি না আমরা। কার কথা বলবো আমি? বিএনপির ভেতরে তো অনেক গ্রুপিং। এগুলো তো বলতে পারবো না আমি কিছু।’
এ নিয়ে গত এক বছরে রাউজানে দলীয় কোন্দলের জের ধরে সংঘর্ষে ও প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন।





