হামলায় র্যাবের ৩ সদস্যসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। তবে র্যাব সদস্যদের আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সাহেব আলীকে আটকের বিষয়টি র্যাব নিশ্চিত করেনি। সন্ত্রাসী সাহেব আলী (৩৮) ওয়াপদা কলোনি বউবাজার এলাকার মৃত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। সাহেব আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ ডজন খানেক মামলা রয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, ১ সহযোগীসহ সাহেব আলীকে আটক করে সাদা পোশাকধারী র্যাবের একটি আভিযানিক দল। এসময় ২ জন র্যাব সদস্যের পাহারায় তাদের ওয়াপদা কলোনি বউবাজার তিন রাস্তার মোড়ে একটি চা দোকানে রেখে অন্য সহযোগীদের আটক করতে যান র্যাবের অন্য সদস্যরা।
তখন সাহেব আলীর সহযোগী সন্ত্রাসীরা র্যাব সদস্যের ওপর আকস্মিক হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। এসময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ১ জন গুরুতরসহ র্যাবের ৩ সদস্য ও রানা নামে স্থানীয় একজন বাসিন্দা আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা ফয়েজ আহমেদ বলেন, ‘আমি এসে দেখি সন্ত্রাসী সাহেব আলী ও তার ১ সহযোগীকে আটক করে দুজন র্যাব সদস্য শীতলের চা দোকানে বসে আছেন। এসময় ৮-১০ জনের একটি বাহিনী এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং র্যাব সদস্যদের ওপর আক্রমণ করে তাদের ছিনিয়ে নেয়।’
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমি এসে দেখি একজন র্যাব সদস্য রক্তাক্ত অবস্থায় বিসমিল্লাহ ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
বিসমিল্লাহ ফার্মেসীতে কর্মরত শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘প্রশাসনের চার লোক দোকানে এসেছিল চিকিৎসার জন্য। তাদের মধ্যে একজনের মাথায় ও দুজনের হাতে আঘাত ছিল। প্রাথমিকভাবে রক্তক্ষরণ বন্ধ করে দেওয়ার পর র্যাবের লোকজন এসে আহতদের নিয়ে যান।’
জানতে চাইলে র্যাব-১১’র সিপিএসসির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. নাঈম উল হক বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের গোয়েন্দা সদস্যরা সাহেব আলীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বউবাজার এলাকায় যায়। এসময় একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর আক্রমণ করে।’ তবে সাহেব আলীকে আটক ও ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেন নি।




