এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় মাগুরা শহরের নোমানী ময়দানে শিশু আছিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে নেয়া হয় নিজ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এশার নামাজের পর শ্রীপুরের সোনাইকুণ্ডীতে তাকে দাফন করা হয়।
এর পরপরই অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেয়া হয়।
ওইদিন দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যায় শিশুটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আরো পড়ুন: মাগুরার নিজ গ্রামেই আছিয়াকে দাফন, এলাকায় শোকের মাতম
গত সোমবার (১০ মার্চ) মাগুরায় ৮ বছরের এ শিশুটি ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি হিটু শেখের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এছাড়া বাকি ৩ আসামির প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড দেয়া হয়।
আরো পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণ: প্রধান আসামি হিটু শেখের ৭ দিনের রিমান্ড
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিত শিশুটির বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। রমজান ও ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় কয়েক দিন আগে বড় বোনের বাড়ি মাগুরা শহরে বেড়াতে আসে। সেখানেই বড় বোনের শ্বশুরের লালসার শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি।
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে বাড়ির পাশে তাকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।