গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম মুহিত (৩০), শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো. ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) এবং ঢাকার সাভার উপজেলার টানগেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান শরীফ (২৮)। তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজ (শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি)দুপুরে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। শনিবার সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হওয়ার ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তারকৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। এছাড়া দায়িত্ব অবহেলায় মির্জাপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
এর আগে শুক্রবার ওমর আলী নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ১৭ তারিখ রাত ১১টার দিকে ঢাকার গাবতলি থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ইউনিক রোড রয়েলস নামের বাসটি।
পথিমধ্যে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ডাকাতদল বাসটিতে যাত্রীবেশে উঠে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারধর করে ডাকাতি করে। এসময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানিও করে ডাকাতরা। একপর্যায়ে ডাকাতরা বাস থেকে নেমে গেলে চালক গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।
পরে যাত্রীদের চাপে রাজশাহী যাওয়ার পথে কৌশলে বাসটি আটকে চালক, সহযোগী ও সুপারভাইজারকে পুলিশে দেয়া হয়। সহায়তা চাওয়া হয় নাটোরের বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের। পরে পুলিশ ৫৪ ধারায় তাদের আদালতে পাঠালে জামিনে মুক্ত হয়ে যায় সবাই।