এ সময় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়ে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ৫ জনকে আটকের কথা স্বীকার করেছে পুলিশ।
এ সময় প্রায় দেড় ঘণ্টা শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. আমিনুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পুলিশের পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,গতকাল শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শেরপুর সদরের লছমনপুর ইউনিয়নের কান্দাশেরীরচর এলাকায় শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে সূর্যমুখীর বাগানে দর্শনার্থীদের ভিড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।
যানজটে আটকে থাকা বনভোজনের বাসে বসে থাকা এক মেয়েকে ইভটিজিং করেন পার্শ্ববর্তী কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের এক যুবক। পরে কান্দাশেরীরচর গ্রামের কয়েকজন যুবক মিলে ওই ইভটিজিংকারী যুবককে মারধর করে।
এরপর কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের লোকজন খবর পেয়ে দলবেঁধে কান্দাশেরীরচর গ্রামে হামলা চালালে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এতে কান্দাশেরীরচরের অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়।
এ সময় কুসুমহাটি বাজারের রাস্তায় আগুন দিয়ে অবরোধ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও পলাশ টেলিকম নামে একটি মোবাইলের দোকানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
পরে আজ শনিবার সকাল থেকে কান্দাশেরীরচর ও কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া গ্রামের দু’পক্ষ পুনরায় কুসুমহাটি বাজারে শেরপুর-জামালপুর সড়কের দুইপাশে অবস্থান নেয়া শুরু করলে আবারো পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে।
দুপুরের দিকে দুপক্ষের মধ্যে কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং ৫ জন আহত হয়। এ সময় আবারো শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মো.আমিনুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে সেনাবাহিনী।