আবাসিক হোটেলে বান্ধবীর সংঘবদ্ধ ধর্ষণ হওয়ার অভিযোগ করছেন এক নারী। তার অভিযোগ, ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল কৌশলে আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করে তার বান্ধবীকে।
এ ঘটনায় রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা দায়ের করেন ধর্ষণের অভিযোগ আনা নারী। সঙ্গে ছিলেন তার বান্ধবীও।
ধর্ষণ হওয়া নারীর বান্ধবী বলেন, 'ও নাকি বাসা থেকে বের হইছে বিকেল ৪টার দিকে। জুরাইন থেকে ওরে তিনজন নিয়ে এসেছে। শেওড়াপাড়া গোল্ডেন হোটেলের নাম। আমাকে বলছে ১০ থেকে ১৫ জনের বেশি হতে পারে।'
এ ঘটনায় মধ্যরাতেই শেওড়াপাড়ার আবাসিক হোটেলটিতে অভিযান চালায় পুলিশ। ছাদের একটি কক্ষের তালা ভেঙে আটক করা হয় হোটেলটির এক কর্মীকে। ভবন মালিকের কক্ষ থেকে জব্দ করা হয় বিদেশি মদ ও ফেন্সিডিলের বোতল।
হোটেলে কেয়ারটেকার বলেন, 'এখানে যে মদের বোতল পাওয়া গেছে তা উনারা মাঝে মাঝেই খেতো। আর পাঁচতলার মধ্যেই এগুলো চলতো।'
ভবনের পঞ্চম তলার আবাসিক হোটেলটিতে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। ভেতর থেকে বন্ধ দরজা। বারবার চেষ্টা করেও যা ভাঙতে ব্যর্থ হতে হয় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সদস্যরা।
ভবনটির চারতলায় রয়েছে একটি জিম। যেখানে পাওয়া যায় জিমের মালিক মো. শাহজাহানকে। তিনিও জানালেন, হোটেলটিতে অবাধে চলে অবৈধ ও অসামাজিক কার্যকলাপ।
শাহজাহান বলেন, 'এখানে ছেলে মেয়েরা আসে। অনৈতিক কাজ হয় এখানে।'
এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলেও মুখ খুলতে নারাজ ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হোসাইন।
তিনি বলেন, 'যেটা বলার আছে আমরা সেটা বলে দিয়েছি। অভিযান চলমান আছে।'
এদিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ আনা ঐ নারী চান নির্যাতনকারীদের কঠোর শাস্তি।