ঢাকা শহরে রাজউকের আওতাধীন এলাকায় কারো বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকলে নতুন শহর পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ পাওয়ার সুযোগ নেই। ঢাকায় বাড়ি, ফ্ল্যাট থাকার পরও হলফনামায় তা গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ, শেখ রেহানা ও তার ছেলে-মেয়ের নামে ১০ কাঠা করে ৬০ কাঠার ছয়টি প্লট বরাদ্দ নিয়েছেন।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দ নেয়ায় রোববার (১২ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) তথ্য গোপন করে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে শেখ রেহানা ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী এবং ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকের ববির বিরুদ্ধে আলাদা তিনটি মামলা করে দুদক। মামলাগুলোতে শেখ রেহানার আরেক মেয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্য টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক এবং ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়।
বিধি না মেনে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেয়ায় এবার শেখ হাসিনা ও তার ছেলে জয়ের বিরুদ্ধে আরও দু'টি মামলা করেছে দুদক। দু'টি মামলায় গৃহায়ন ও রাজউকের কর্মকর্তাসহ মোট ২৪ জনকে আসামি করা হয়। মামলাগুলোর বিষয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার নামে প্লট বরাদ্দ প্রধান ও প্লটের বাস্তব দখল গ্রহণ করার অপরাধে দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫ এর ২ ধারায় আজ একটি মামলা রুজু হয়েছে। সজীব আহমেদ জয়ের নামে বরাদ্দ প্রদান ও প্লটের বাস্তব দখল গ্রহণ করার অপরাধে দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন-১৯৪৭ এর ৫ এর ২ ধারায় আজ আরও একটি মামলা রুজু হয়েছে।'
২৬ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে বরাদ্দ নেয়া প্লটের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গত তিনদিনের করা মোট ছয়টি মামলায় শেখ পরিবার ও সহায়তাকারী সরকারি আমলা মিলে ৮৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।