যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতে দুর্নীতি বন্ধের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দেশটির ইকোনমিক সেক্রেটারি টিউলিপ সিদ্দিক। কতটা নিষ্ঠার সঙ্গে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন, এ নিয়ে লেবার পার্টির মধ্যে কোনো দ্বিধাবিভক্তি না থাকলেও এবার বাংলাদেশের অবকাঠামো প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ৪২ বছরের এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে।
বিবিসি জানায়, ২০১৩ সালে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সাথে চুক্তিতে মধ্যস্থতা করেছিলেন টিউলিপ। সেখান থেকে অর্থ আত্মসাতের উদ্দেশ্যে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ধরা হয়েছিল এমন অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
গেল আগস্টে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই তদন্তে উঠে আসে টিউলিপের নাম।
আদালতের নথি পত্রের বরাতে বিবিসি আরও জানায়, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যে চুক্তি হয় সেখানে প্রকল্পের ব্যয় অন্তত ১ বিলিয়ন পাউন্ড বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে যার ৩০ শতাংশ চলে যায় টিউলিপ ও তার পরিবারের অ্যাকাউন্টে।
এ খবরে তোলপাড় ব্রিটিশ গণমাধ্যমও। যদিও ব্রিটিশ মিনিস্টারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, টিউলিপের পরিবারের দাবি, এ অভিযোগ পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অপদস্থ করতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, টিউলিপের ওপর এখনও আস্থা রাখছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
ইকোনমিক সেক্রেটারির পদে দায়িত্ব পালন নিয়েও কোনো সংশয় নেই ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির। টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্রের দাবি, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ আনা হয়েছে সেখানে তার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলেনি।
এদিকে, টিউলিপ সিদ্দিকের মা শেখ রেহানা সিদ্দিকের বিরুদ্ধেও এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।