২০০৪ সালের ১ এপ্রিল মধ্যরাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্ণফুলী নদী তীরে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের সংরক্ষিত জেটিঘাটে দুটি মাছ ধরার ট্রলার থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র খালাস করে ট্রাকে তোলার সময় পুলিশ আটক করে।
পরে তদন্তে দেখা যায়, চীনের তৈরি এসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ সমুদ্রপথে আনা হয় ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘উলফা’র জন্য। বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ওই চালান ভারতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি তৎকালিন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, ডিজিএফআইয়ের ডিজি রেজ্জাকুল হায়দার, এনএসআইয়ের ডিজি আবদুর রহিম, উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ ১৪ জনের ফাঁসির রায় দেন চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১।
পরে একই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মামলার রায় ও অন্যান্য নথি অনুমোদনের জন্য হাই কোর্টে আসলে আপিল করে দুই পক্ষই।
দীর্ঘদিনের শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের বেঞ্চে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে বলা হয়, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ চারজনের আসামিদের বিরুদ্ধে দশ ট্রাক অস্ত্র নিয়ে কোনো সম্পৃক্তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি তাই চার আসামিকে খালাস দেয়া হয়।
উলফা নেতা পরেশ বড়ুয়াকে মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়, দশ ট্রাক অস্ত্র চালানের মামলায় তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি।
জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও এনএসআইয়ের সাবেক ডিজি মৃত্যুবরণ করায় তাদের মামলার রায় থেকে বাদ দেয়া হয়।