কামরুল ইসলাম কামু (৫৩) এরশাদনগর চার নম্বর ব্লকের তমিজউদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, মাদক, চাঁদাবাজিসহ ২৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ফরিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে কামুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।'
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর গাজীপুরের টঙ্গীতে ফেরেন ২৪ মামলার আসামি কামরুল ইসলাম ওরফে কামু। টঙ্গীতে ফিরেই তিনি এরশাদনগরের অপরাধ জগতের নিয়ন্ত্রণে নেন। নিজ নামেই গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী 'কামু বাহিনী'। এলাকার বাসিন্দাদের কাছে আতঙ্কের নাম ছিল কামু। তার বিরুদ্ধে টঙ্গী পূর্ব থানায় জোড়া হত্যা মামলাসহ তিনটি হত্যা মামলা, অবৈধ অস্ত্র বেচাকেনা করায় তিনটি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১১টি, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দু'টি, চাঁদাবাজি ঘটনায় একটি ও সরকারি সম্পত্তি দখলের অভিযোগে একটি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে তিনটি মামলাসহ অন্তত ২৪টি মামলা রয়েছে।
এদিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানাজানি হলে টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকায় কামুর ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এসময় বিক্ষুব্ধরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা ১২টার দিকে প্রায় আধাঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের পর স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যস্থতায় তারা মহাসড়ক ছেড়ে দিয়ে এরশাদনগর এলাকায় আনন্দ মিছিল ও মিস্টি বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ৪৯ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ, টঙ্গী পূর্ব থানা মহিলা দলের দপ্তর সম্পাদক হালিমা আক্তার, বিএনপি নেতা নাজিউর রহমান সুমন যুবদল নেতা মঞ্জুর হোসেনসহ ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের এলাকাবাসী।