আজ (বুধবার, ৩০ অক্টোবর) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শরীফুর রহমান ও মো. ইমরান আহম্মেদের পৃথক দুটি আদালত শুনানি শেষে এসব আদেশ দেন।
এর আগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব আসামিকে হাজির করে গ্রেপ্তার-রিমান্ডের আবেদন করেন।
এদিন সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেস্টনির মধ্যদিয়ে আদালতে নেওয়া হয় আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক এসব উপদেষ্টা, মন্ত্রী, এমপি ও ঘনিষ্ঠজনদের। এরপর একে একে তাদের আদালতে নেওয়া হয়। এসময় শতাধিক মামলায় তাদেরকে নতুন করে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে হাইকোর্টের জাল ভোটের ঘটনায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় পাঁচ দিন ও বাড্ডা থানার হত্যা মামলায় তিন দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।
সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ধানমন্ডি থানার হত্যা মামলায় তিন দিন ও বংশাল থানার হত্যা মামলায় চার দিনসহ মোট সাত দিনের রিমান্ড আদেশ দেন আদালত।
মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের তিন দিন ও যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় সাবেক নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাহজাহান খানের তিন দিন রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
এছাড়া নিউমার্কেট থানার হত্যা মামলায় বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ৩ দিন, সাবেক সংসদ সদস্য হাজী সেলিম ও বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন থানার হত্যা মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান, সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক, ডিএপির গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক ডিসি মশিউর রহমান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।