আজ (মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় ফরিদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১নং আমলী আদালতের বিচারক মো. নাসিম মাহমুদের আদালতে নালিশী অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন।
অভিযোগটি দায়ের করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. দেলদার হোসেন সবুজ।
এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ নেতাকর্মীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল। এসময় তৎকালীন এমপি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ভাই তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের নির্দেশে পৌর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।
হামলায় গুরুতর আহত হন জুলফিকার হোসেন জুয়েল, দিলদার হোসেন সবুজসহ বেশ কয়েকজনকে। আহতরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে সেখানেও হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতারা। পরে আহতরা বাসায় এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে যান।
বাদীর আইনজীবি মো. হেমায়েত হোসেন জানান, আদালতকে আমরা জানিয়েছি, ওই সময়ে আমরা থানা ও আদালতে মামলা দায়েরের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কেউই আমাদের মামলা গ্রহণ করেনি। আজ দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে বিধায় আমরা ন্যায় বিচারের আসায় আদালতে হাজির হয়েছি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে আমাদের অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে কোতয়ালী থানা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ওই সময়ের হামলায় গুরতর আহত বর্তমান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, ‘আমি যে আপনাদের সামনে দাড়িয়ে আছি, কথা বলছি তা আমার অতিরিক্ত হায়াতটুকুর জন্য। ওই দিন আমাকে মেরে ফেলার জন্যই হামলা করা হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কুপিয়ে আহত করার পরে আমি যে চিকিৎসা নিবো, সেই সুযোগও আমাকে দেয়নি, হাসপাতালে গিয়ে আবার হামলা করেছে। আমি পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। আমি আশাবাদী দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আদালতের কাছে আমি ন্যায় বিচার পাবো।’