রিটকারীদের আইনজীবীরা জানান, ২০২২ সালের করা আইন, নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না, এমন আইনে দায়মুক্তি দেয়ার বিধান অসাংবিধানিক। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ অবৈধ ছিল বলে মনে করেন তারা। সেজন্য তাদের অধীনে হওয়া নির্বাচনও অবৈধ।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, 'আইন করে নির্বাচন কমিশনকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেই দায়মুক্তির আইনে বলা হয়েছে, এটা নিয়ে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না। আমরা মনে করি, এটা আদালতের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।'
তিনি আরও বলেন, 'আদালতে যদি এই দায়মুক্তির আইন অসাংবিধানিক ঘোষিত হয়, তাহলে দু'টি নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।'
এর আগে, রোববার (১৮ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন, আব্দুল্লাহ সাদিক, জিএম মোজাহিদুর রহমান, মিসবাহ উদ্দিন, জোবায়দুর রহমান, নোয়াব আলী, আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, সাজ্জাদ সরওয়ার, মোজাহিদুল ইসলাম, মিজানুল হক এবং একেএম নুরুন নবী।