এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এর আগে সকালে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত চেয়ে দুই আবেদনের শুনানির জন্য বেলা সাড়ে ১১টা নির্ধারণ করা হয়।
শুনানির শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, গতকাল হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে দুই শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। আমাদের রাষ্ট্রপক্ষেরও একটি আবেদন রয়েছে। দু’টি আবেদন একসঙ্গে সাড়ে ১১টায় শুনানি হলে ভালো হয়। তখন আপিল বিভাগ শুনানির জন্য বেলা সাড়ে ১১টা নির্ধারণ করেন।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, 'আন্দোলন করে তারা প্রশংসনীয় কাজ করেনি, আন্দোলন করে আদালতের সিদ্ধান্ত বদলানো যায় না। তাদের আদালতে আসা উচিত ছিল। এতো কথা বলে উস্কানি দেয়ার কোনো মানে নেই।'
তিনি বলেন, 'একটা রায় হলে পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। সকল সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আছে আপিল বিভাগের।'
এরপর বেলা ১২টা ২০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সেখানে তিনি পরবর্তী শুনানিতে আইনজীবীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানান।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘সর্বোচ্চ আদালতের আদেশের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা জারির মাধ্যমে সরকারের কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন বহাল থাকলো।’
সকল শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। উপাচার্যদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সচল রাখার ব্যবস্থা নেয়ারও আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আগামী ৭ জুলাই কোটা ইস্যুতে পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ের ওপর আপিল শুনানির প্রস্তুতি নেবে রাষ্ট্রপক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।