সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের কৃষক ইউনুস মুন্সি। চলতি মৌসুমে ১০ হাজার টাকা খরচ করে আমন ধান চাষ করেছিলেন। বাম্পার ফলন দেখে লাভের আশাও করেছিলেন। কয়েকদিন পর পাকা ধান ঘরে তোলার কথা থাকলেও শুক্রবার ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। ইউনুস মুন্সি বলেন, ‘এই ধান নিয়ে এখন বিপদে পড়েছি।’
আমন ধান আর শীতকালীন ফসল হারিয়ে দিশেহারা এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক। এমন অবস্থায় পুঁজি হারিয়ে আগামীতে চাষাবাদ নিয়ে অনেকে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
আরো পড়ুন:
কৃষকরা বলেন, আমাদের ধান আর সবজি পানির নিচে পড়ে আছে। এই ঝড়ে অনেক টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার কীভাবে চাষ করবো সেই চিন্তা করছি?
চাঁদপুর জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন পাবো। এরপরই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে প্রণোদনা দেয়ার কথা জানান তিনি।
মিধিলি’র প্রভাবে চাঁদপুরে ১৯০ হেক্টর আমন ধান, ১৪০ হেক্টর সরিষা, ২৭০ হেক্টর শীতকালীন সবজি ও ১০ হেক্টর ধানের বীজতলা জমি নষ্ট হয়েছে।





