সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, দেশের একমাত্র লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা খনিকে পরিকল্পিতভাবে লোকসানি দেখিয়ে বন্ধ করার ষড়যন্ত্র চলছে। বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে আংশিক কিংবা পুরোপুরি বন্ধ থাকায় খনিতে উৎপাদিত কয়লা ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে কোল ইয়ার্ডে বিপুল পরিমাণ কয়লা ঝুঁকিপূর্ণভাবে মজুত রয়েছে।
তারা অভিযোগ করেন, খনির একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সরকার নির্ধারিত প্রতি টন কয়লার মূল্য ১৭৬ ডলারের পরিবর্তে মাত্র ৯১ থেকে ১০৭ ডলার পরিশোধ করছে। এতে খনি চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে এবং বর্তমানে খনির বকেয়া পাওনা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বক্তারা আরও বলেন, খোলা বাজারে যেখানে বড়পুকুরিয়ার কয়লার দাম ২০০ ডলারের বেশি, সেখানে অযৌক্তিকভাবে দাম কমিয়ে খনিকে লোকসান দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এর ফলে খনি বন্ধ হয়ে গেলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক নেতারা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—লোকাল মার্কেটে কয়লা বিক্রির অনুমতি, পিডিবির কয়লার মূল্য পুনর্নির্ধারণ, বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের দিয়ে খনির বোর্ড পরিচালনা বন্ধ, অযৌক্তিক মূল্যহ্রাস বন্ধ এবং খনি বন্ধ না করার নিশ্চয়তা প্রদান।
দাবি মানা না হলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিক নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কাশেম ও কয়লা খনি শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রবিউল ইসলাম রবিসহ আরো অনেকে।
বড়পুকুরিয়া কোলমাইনিং কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু তালেব ফরাজি জানান বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দামের তারতম্যের কারণে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে। তিনি জানান যেহেতু দুটোই সরকারি প্রতিষ্ঠান জ্বালানি মন্ত্রণালয় বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করছে।





