এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, রবিবার গভীর রাতে রনচাপ এলাকায় কিছু লোক বোরো ক্ষেতে পানি নেয়ার জন্য মনু নদীর বেঁড়িবাঁধ এক্সক্যাভেটর দিয়ে কেটে সেখানে পাইপ বসানোর কাজ শুরু করে। রাতে কুয়াশা ছিল। বাঁধ কেটে মাটি সরানোর পর নীচে গিয়ে মাটি সমান করার এক পর্যায়ে দু’পাশের মাটি ধ্বসে বিজয় মালাকারকে চাঁপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।
পরে লোকজন সেখান থেকে এক্সক্যাভেটরের মাধ্যমে মাটি সরিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নেয়।
পরে আজ (সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা মৌলভীবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। নিহত বিজয় মালাকার ওই গ্রামের মৃত বারেন্দ্র মালাকারের ছেলে।
আরও পড়ুন:
হাজিপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বিধাননদত্ত বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে মাটি কাটতে গিয়ে মাটি চাপায় সে মারা যায়। পুলিশ এসে এক্সক্যাভেটরটি তার জিম্মায় রেখে গেছেন। এক্সক্যাভেটরটি বর্তমানে ওই স্থানেই গ্রাম পুলিশের পাহারায় রয়েছে।’
এ বিষয়ে কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. মুহিত মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খারেদ বিন ওয়ালেদ বলেন, ‘এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে কোনো অনুমতি নেয়া হয়নি বা কোনো আবেদনও করা হয়নি।’
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘বাঁধ কাটা অন্যায়, এ বিষয়ে তারা কোনো অনুমতি নেয়নি। এ ব্যাপারে দোষীদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’





