সৈয়দপুরে জমজমাট পুরাতন কাপড়ের বাজার: ১০ টাকায় শীতবস্ত্র, মৌসুমে ব্যবসার টার্গেট ৩ কোটি

সৈয়দপুরের পুরনো কাপড়ের বাজার
সৈয়দপুরের পুরনো কাপড়ের বাজার | ছবি: এখন টিভি
0

নীলফামারীর সৈয়দপুরে জমে উঠেছে পুরাতন কাপড়ের বাজার। যেখানে ১০ টাকা থেকে শুরু করে পাওয়া যায় দুই হাজার টাকার শীতের কাপড়। তবে মৌসুমের শুরুতে বেচাকেনা কিছুটা কম- বলছেন বিক্রেতারা। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া প্রতিটি পুরনো কাপড়ের বেল্টে দাম বেড়েছে পাঁচশো থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। চলতি মৌসুমে প্রায় তিন কোটি টাকার ব্যবসার আশা ব্যবসায়ীদের।

২০ টাকা দাম শুনে ভাবার কোনো অবকাশ নেই যে এ দামে শুধু মোজা বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকায় মিলছে সোয়েটার আর জ্যাকেটও।

নীলফামারীর সৈয়দপুরে এই লন্ডা বাজারে ২০ টাকা থেকে শুরু করে মিলছে ২ হাজার টাকার শীতের কাপড়। সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, ব্লেজার, কোট, লংকোট থেকে শুরু করে সব ধরনের পোশাকই মিলছে এ বাজারে।

রেল স্টেশনের পাশে প্রায় আধা কিলোমিটার জায়গা জুড়ে প্রতি শীত মৌসুমেই জমজমাট হয়ে উঠে এই বাজার। অক্টোবরের শেষ থেকে শুরু হয়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলে পুরনো কাপড়। শীত যত বাড়ে ততই এ বাজারে বাড়ে ক্রেতা সমাগম। তবে চলতি বছর পোশাকের দাম কিছুটা বেশি বলছেন ক্রেতারা।

স্থানীয়রা জানান, এ এলাকার মানুষ এ মার্কেটের ওপর নির্ভরশীল। এ বাজারে যেহেতু দাম কম তাই এ মার্কেট থেকে তারা কেনাকাটা করেন।

শুধু খুচরা ক্রেতাই নয় লন্ডা বাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন পাইকাররাও। যাদের হাত ধরে এখনকার পোশাক ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন জেলায়।

আরও পড়ুন:

ব্যবসায়ীরা বলেন, এখানে ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৫০০ পর্যন্ত আছে। তারা পণ্যগুলো আরও কম দামে পেলে আরও কমদামে বিক্রি করতে পারবেন তারা। এতে তারা আরও লাভবান হবে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, চট্টগ্রাম থেকে পোশাকের বড় বড় বেল্ট কিনে নিয়ে আসেন পাইকারি বিক্রেতারা। আবার কেউ সরাসরি বিদেশ থেকেও আমদানি করেন। তবে, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবছর প্রতি বেল্টে ৫০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি গুণতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

সৈয়দপুর বস্ত্র ব্যবসায়ী মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমাদের শীতের সময় হলো তিন মাস। তবে আমরা এখন তিন মাস পাই না। এখন সর্বোচ্চ এক মাস পাই। টাকায় যদি কেনাকাটা করতাম তাহলে এক বিষয় ছিলো। যেহেতু ডলার দিয়ে কেনাকাটা করা হয়। রেট যেহেতু বেশি তাই সে প্রভাবটি আমাদের বাজারে পড়বেই।’

চলতি শীত মৌসুমের ৪ মাসে এই বাজার থেকে তিন কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।

এফএস