নিহত ইয়াসিনের বড়ভাই শাহীন মিয়া তার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গণি শাহ মাজার সংলগ্ন একটি হোটেলে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হন শিপন (৩৮) নামে এক যুবক। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন হোটেল কর্মচারী ইয়াসিন ও নূর আলম নামে আরেক যুবক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামের বাসিন্দা শিপনের সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ নানা বিষয় নিয়ে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাতের বিরোধ চলছিল। শিপন ও রিফাত দুইজনই ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।
পূর্ববিরোধের জেরে গত শনিবার রাতে শিপন গণি শাহ মাজারের পাশে একটি হোটেলে খাবার খাওয়ার সময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় রিফাত। এ সময় শিপন ও হোটেল কর্মচারীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিপনের মৃত্যু হয়। পরে আজ সোমবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে ইয়াসিন মারা যায়।
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক জানান, গুলিবিদ্ধ ইয়াসিন আজ সকালে মারা গেছেন বলে শুনেছি। চিকিৎসাধীন বাকি একজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।





