চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি আর এনসিটিসহ বিভিন্ন স্থাপনা বিদেশি অপারেটরদের হাতে দেয়ার প্রতিবাদে কয়েক মাস ধরে কর্মসূচি চলছে চট্টগ্রামে। দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ৯২ ভাগ নিয়ন্ত্রণকারী এ বন্দরকে বলা হয় দেশের হৃৎপিণ্ড। বন্দরের নিজস্ব আয় বছরে দেড় হাজার কোটি টাকা।
এমন স্থাপনা বিদেশিদের হাতে তুলে দেয়ার প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে ব্যবসায়ী সংগঠন, উদ্যোক্তা, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন সংগঠন। গত কয়েকমাস ধরে চলছে মিছিল, সভা,সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে শুরু হওয়া গণঅনশনে যোগ দেন চট্টগ্রাম বন্দরসহ সরকারি বেসরকারি সংস্থার শ্রমিকরা। তাদের অভিযোগ, এনসিটি টার্মিনাল ও লালদিয়ার চরসহ একাধিক স্থাপনা বিদেশি অপারেটরের হাতে তুলে দিতে চায় সরকার। এ সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের একজন বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান যিনি চট্টগ্রামে এসে বললেন বন্দর বাংলাদেশের হৃদপিণ্ড। তিনিই এ হৃদপিণ্ড ইজারা দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করছেন।’
আরও পড়ুন:
শ্রমিকরা জানান, দেশের বিনিয়োগে গড়ে ওঠা লাভজনক বন্দর পরিচালনা করতে এদেশের মালিক, ব্যবসায়ী, শ্রমিকরা সক্ষম। দরকার হলে সরকার নিজেই বন্দর পরিচালনা করতে পারে। তবে বিদেশিদের দেয়ার প্রক্রিয়া চলতে থাকলে সামনে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।
জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা এ চট্টগ্রাম বন্দরকে কোনোভাবেই বিদেশিদের হাতে দিতে দিব না।’
চট্টগ্রাম ট্রেড ইউনিয়নসের কেন্দ্র সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, ‘বন্দর সারা দেশের অর্থনীতির রক্তপ্রবাহ। এ বন্দরকে রক্ষা করতে চান দেব তাও মান দেব না। বন্দর আমরা রক্ষা করবই করব।’
এছাড়া মাশুল বাড়ানোকে অযৌক্তিক দাবি করে গত একমাস ধরে বন্দরে পরিবহন অবরোধ, সিএন্ডএফ এজেন্টদের কর্মবিরতিসহ একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে ব্যবসায়ীরা।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিদেশি অপারেটর নিয়োগ দিলেও বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনা থাকবে কর্তৃপক্ষের হাতেই। এছাড়া বন্দর এলাকায় যে কোন ধরণের সভা সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে পুলিশ।





