মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে নির্যাতিতা ওই শিশুটি রাজধানী ঢাকার কলাবাগান এলাকার যে বাসায় গৃকর্মীর কাজ করতো সেখানে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত রুহুল আমিনের (৪১) সঙ্গে ধানমন্ডি সায়েন্স ল্যাবরেটরি সিটি কলেজ সংলগ্ন রাস্তায় দেখা হয়। এসময় রুহুল ওই শিশুটিকে ফুসলাইয়া সু-কৌশলে তার সহিত নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন রূপালী এলাকায় তার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুন:
পরে মঙ্গলবার সকালে পুনরায় কলাবাগান নিয়ে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের সদর থানার ২নং রেল গেইট সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে শিশুটি ডাক চিৎকার শুরু করে। আশপাশের লোকজন অভিযুক্ত রুহুলকে আটক করে মারপিট করে।
পরে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পুলিশ প্রথমে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যায়। ঘটনাস্থল বন্দর থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা রুহুলকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
গ্রেপ্তারকৃত রুহুল আমিন ডিএমপির ধানমন্ডি ট্রাফিক ডিভিশনে কনস্টেবল পদে (আইডি নং ৩৯০২৫, বিপি- ৮৪১১২২৫৬৩১) কর্মরত আছেন।
এবিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই শিশুর চাচা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। নির্যাতিতা শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।





