থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলার বটতলী রুস্তমহাট এলাকা থেকে আন্তঃজেলা সিএনজি চোরচক্রের সদস্য সাইফুল রিজার্ভ ভাড়ার কথা বলে সিএনজিচালক সাজ্জাদকে বরুমচড়া কানু মাঝির হাট এলাকায় নিয়ে যায়। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে আগে থেকেই অবস্থান নেয় আসামি রমজান আলী ওরফে আক্কর, মো. হারুন, সুমন ও আশরাফ।
রাত আনুমানিক পৌনে ৮টার দিকে কানু মাঝির হাট বেড়িবাঁধ-সংলগ্ন স্থানীয় নুরুল হকের ফিশারির খামারের পাশে পৌঁছে সিএনজিটি থামানো হয়। পরবর্তীতে আসামি সুমন সিএনজিচালক সাজ্জাদকে জোর করে খামারের ভিতরে নিয়ে যায়। সেখানে মুখ বেধে জবাই করে তাকে হত্যা করে এবং মরদেহ খামারের পানিতে ফেলে দিয়ে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায়।
১৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে আনোয়ারা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পিতা নাছির ড্রাইভার পরদিন ১৭ সেপ্টেম্বর আনোয়ারা থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আনোয়ারা থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং মো. হারুন (৪২), পিতা মৃত আবুল হাশেম, সাং–বরুমচড়া, ৮নং ওয়ার্ড, আনোয়ারা।
ঘটনার মূল হোতা মো. সাইফুল বর্তমানে অন্য এক মামলায় চন্দনাইশ থানায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে রয়েছে। উক্ত ঘটনার প্রধান আসামি সাইফুলের বিরুদ্ধে ৩টি হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।





