বগুড়ার ব্যাংকপাড়া বড়গোলায় সড়কে সারিবদ্ধভাবে মোটরসাইকেল সাজিয়ে রাখার এই দৃশ্য প্রতিদিনকার। কারণ অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করা বাণিজ্যিক ভবনগুলোতে নেই পার্কিং সুবিধা। ফলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল রেখে প্রয়োজনীয় কাজ সারছেন বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহক।
এছাড়া সদর থানার ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলেও সড়কের পাশেই পার্কিং করে রাখা হয় পুলিশের একাধিক ভ্যান। এতে সাতমাথা থেকে দত্তবাড়ি পর্যন্ত সংকুচিত হয় চলাচলের পথ।
স্থানীয়রা জানান, বহুতল ভবনগুলোর যে পার্কিং সুবিধা রাখতে হয়, সেরকম কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই নিরুপায় হয়ে তারা রাস্তায় গাড়ি পার্ক করতে বাধ্য হয়। যদিও এতে তারা তাদের গাড়ি নিয়ে থাকেন নিরাপত্তা শঙ্কায়।
ফুটপাতেও বেড়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হকারের সংখ্যা। আর অন্যদিকে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে অটোরিকশা চলাচল। শুধু শহরের ভেতরেই চলছে প্রায় ২০ হাজার অটোরিকশা। ফলে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে অটোরিকশার স্ট্যান্ড।
আরও পড়ুন:
নগরবাসী বলছেন, যানজটের অন্যতম কারণ শহরের ভেতর দিয়ে যাওয়া রেলপথ। রেল পারাপারে প্রতিদিন ১৬ বার বন্ধ করা হয় শহরের প্রধান পথ। ফলে প্রতিবার ব্যারিকেডে যে যানজট সৃষ্টি হয় তা ছড়িয়ে পড়ে সারা শহরে।
রিকশাচালকদের মধ্যে একজন জানান, রাস্তায় গাড়ি ও মোটরসাইকেল পার্কিং করায় তৈরি হয় যানজট। এতে চলাফেরায় বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়।
পৌর কর্তৃপক্ষ জানান, সিটি কর্পোরেশনের প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন, রাস্তা প্রশস্তকরণ, পার্কিং এর নিদ্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণসহ আরো কিছু পরিকল্পনার মাস্টারপ্লান বাস্তবায়ন হলেই যানজট নিরসন সম্ভব। এছাড়া যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনতে ইতোমধ্যে অটোরিকশার প্রাথমিক ডাটাবেজ তৈরির কাজও চলছে।
বগুড়া পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান আলম রিপন বলেন, ‘কত দ্রুত মাস্টারপ্ল্যান করতে পারি, সেটা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আমরা এটা নিয়ে ভাবছিও। আর যেহেতু আপনারা জানেন যে, এটা সিটি করপোরেশন হয়ে যাচ্ছে, সিটি করপোরেশন হয়ে গেলে মাস্টারপ্ল্যানটাও আরও তরান্বিত হবে। সেক্ষেত্রে এই যানজট সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসাটা আরও সহজ হবে।’
বগুড়া পৌর এলাকায় প্রায় ১০ লাখ মানুষের বসবাস। তাদের দাবি যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে যানজট কমিয়ে রাস্তা চলাচল উপযোগী করার।





