শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের আর্থিক সহায়তায় সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে টাইফয়েড ভ্যাকসিনেশন বিষয়ক দিনব্যাপী এ কনসালটেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কর্মশালাটি আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিস। জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা।
কর্মশালায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার প্রমিতি সরকার। তিনি টাইফয়েড জ্বর, জ্বরের প্রভাব, সংক্রমণ প্রক্রিয়া, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী, রোগের লক্ষণসমূহ, কারা এই টিকা গ্রহণ করতে পারবেন এবং কারা পারবেন না, কখন টিকা দেওয়া যাবে না এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা সমাজের নির্ভরযোগ্য তথ্য বাহক। আপনাদের অনুরোধ করছি নিজ প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সাথে টাইফয়েড টিকার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করুন। একই সঙ্গে বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম ও প্রচারের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে এই টিকা কার্যক্রমের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন। আপনাদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও প্রচারণার মাধ্যমেই গুজব প্রতিরোধ সম্ভব হবে এবং মানুষের মাঝে সচেতনতা তৈরি হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘টাইফয়েড টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা সুপারিশকৃত। এটি নিরাপদ ও কার্যকর। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে ইপিআই ব্যবস্থাপনায় বিনামূল্যে এ টিকা প্রদান করা হবে।’
তিনি আরও জানান, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে মাসব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম চলবে। এর আওতায় মানিকগঞ্জ জেলার সাতটি উপজেলার ১ হাজার ৬০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীসহ নয় মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রায় ৪ লাখ ৩৪ হাজার জনকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। টিকা নেওয়ার জন্য সাতটি স্থায়ী ও ১ হাজার ৫৯৩টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তিনি টাইফয়েড টিকা নিয়ে কোনো ধরনের গুজব বা অপপ্রচার রোধে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। কর্মশালায় জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল বাতেন, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমির হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।





