পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হঠাৎ করেই গাজীপুরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় সপ্তাহখানেক আগে মাসব্যাপী মেলার এ আয়োজন করা হয়। শুরু থেকেই মেলা চত্বরে নাগরদোলা চলছিল। মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার দিকে নাগরদোলায় চড়েন মেলায় আসা ২৫ থেকে ৩০ জন দর্শনার্থী। হঠাৎ চলন্ত নাগরদোলা ভেঙে হেলে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, এতে অন্তত ৪ থেকে ৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনার পরপরই কড়া নিরাপত্তায় আহতদের উদ্ধার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে মেলা কর্তৃপক্ষ। এ সময় ছবি তুলতে চাইলে সাংবাদিকদের বাধা দেয়া হয়।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর জয়দেবপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আব্দুস ছামাদ বলেন, ‘নিচে বালি থাকায় তা দেবে গিয়ে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। সাধারণত বালির ওপর এতো বড় নাগরদোলা বসানোর নিয়ম নেই। তবে কর্তৃপক্ষ কার অনুমতি নিয়ে এমন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নাগরদোলা বসিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, ‘মেলার অনুমতির জন্য আমাদের কাছে আবেদন করেনি। তাই আমরা কোনো অনুমতি দেইনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা প্রশাসকের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, যদিও মেলার নীতিনির্ধারক জেলা প্রশাসক, তবুও মেলার অনুমতির জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর কোন আবেদনই করেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে মেলার দায়িত্বে থাকা মাহমুদ বলেন, ‘মেলার অনুমতি দিয়েছে সেনাবাহিনী।’ যদিও গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের নির্বাহী অফিসার আবুজর গিফারী বলেন, আমাদেরকে শুধু অবহিত করা হয়েছে। আমরা মেলার কোনো অনুমতি দেইনি।
অবৈধভাবে চলা এ মেলার শব্দদূষণে অতিষ্ঠ হয়ে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী।





