তৃতীয়বারের মতো বন্ধ হলো কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট

কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র | ছবি: সংগৃহীত
0

রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট খোলার ১১ দিন পর তৃতীয় দফায় বন্ধ করা হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে এখনও ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। আজ (শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জলকপাটগুলো।

এর আগে, ৮ সেপ্টেম্বর বিকেল তিনটায় ৬ ইঞ্চি এবং ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় ১ ফুট করে খুলে দেয়া হয় ১৬টি জলকপাট। 

এরপরেও কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত খুলে দেয়া হয়েছিল জলকপাটগুলো। এতে সেকেন্ডে ৬০ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হয় কর্ণফুলী নদীতে।

কাপ্তাই লেকের পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট। পানির উচ্চতা ১০৮ ফুট হলেই বিপৎসীমা হিসেবে ধরা হয়। তবে আজ সকাল ৮টায় হ্রদের পানির উচ্চতা দাঁড়ায় ১০৮ দশমিক ২২ ফুট মিনস সি লেভেল। এরপরই জলকপাট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:

এর আগে, চলতি মৌসুমে প্রথম দফায় গেলো ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টায় একইভাবে ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়। তবুও পানি বাড়ায় পরে ধাপে ধাপে দেড় ফুট, আড়াই ফুট এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছিল। 

৭ দিন পরে পানির উচ্চতা কমে আসলে ১২ আগস্ট সকাল ৯টায় সব জলকপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় গেলো ২০ আগস্ট রাত ৮টায় কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খোলা হয়।

কর্ণফুলী পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা ছিল ১০৮ দশমিক ২২ ফুট মিনস সি লেভেল। আপাতত পানির উচ্চতা নিয়ন্ত্রণে থাকায় আজ সকাল ৮টায় কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট একযোগে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে আবারও খুলে দেয়া হবে।

এসএইচ