পাখির কিচিরমিচির আর ডানার ঝাপটা মাতিয়ে রেখেছে জয়পুরহাটের কানাইপুকুর গ্রাম। সকালের সোনালি রোদ আর গোধূলির মৃদু আলোয় ফুটে উঠছে যাদের অপরূপ সৌন্দর্য। হঠাৎ দেখে মনে হবে গাছে থোকায় থোকায় ফুটে থাকা সাদা ফুল।
সারাবছর পাখির এ কলবর না থাকলেও বছরের জুন মাস থেকে শুরু করে অক্টোবর পর্যন্ত কানাইপুকুর গ্রামে সোবহান মন্ডলের পুকুরপাড়ের তেঁতুলগাছে দল বেঁধে আসে বিরল প্রজাতির এসব শামুকখৈল।
কানাইপুরে প্রায় এক যুগ ধরে বাস করছে এসব পাখি। নিরাপদ আশ্রয় আর গ্রামবাসীর ভালোবাসায় এ গ্রামে পাখির সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার। নিজেদের জায়গায় গড়ে ওঠা এসব পাখির নিরাপত্তা দিচ্ছে গোটা গ্রামের মানুষ। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে আসছে দর্শনার্থীরাও।
আরও পড়ুন:
পরিবেশ প্রেমীরা বলছেন, আগের তুলনায় এ এলাকায় অনেকটাই কমেছে পাখির আগমন। ফসলে অতিমাত্রায় কিটনাশক ব্যবহারে খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছে না অতিথি পাখিরা।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন বগুড়ার সহ-সভাপতি শাহাবুদ্দীন সৈকত বলেন, ‘এখন দেখা যাচ্ছে, অনেক পাখি আগে যেমন আসতো, এখন সেরকম আসছে না। কারণ যে জমিগুলোতে অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, সেই জমিগুলোতে পড়ে যখন জমি থেকে খাবার খায়, তখন তাদের জীবনহানি হয়। একটা আইন হয়তো হয়েছে যে পাখি মারা যাবে না, কিন্তু সে ব্যাপারে জনগণকে সেভাবে সচেতন করা হচ্ছে না।’
পাখিপ্রেমীরা বলছেন, বন্যপ্রাণী রক্ষায় সরকারের বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।





