কলারোয়া উপজেলার কেড়াগাছি গ্রামে দুই বছরের শিশু ইরফান খাঁ পানিতে ডুবে মারা যায়। সে ইকরাম খাঁর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে গোসল করানোর জন্য শিশুটিকে ঘরের বাইরে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর তাকে খুঁজে না পেয়ে পরিবারের লোকজন চারদিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
একপর্যায়ে রান্নাঘরের পাশের একটি ডোবা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে ফয়সাল হোসেন (১৬) নামের মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোর পানিতে ডুবে মারা যায়। সে স্থানীয় মোটরসাইকেল চালক শাহিনুরের ছেলে। গতকাল (রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় এক চায়ের দোকানে বসে থাকার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্যা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় মরদেহ দাফনের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
এছাড়া সদর উপজেলার ফিংড়ী ইউনিয়নের এল্লারচর আবাসন প্রকল্পে পানিতে ডুবে মারা গেছে ইসমাইল হোসেনের শিশু কন্যা। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক।
আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামে পানিতে ডুবে দেড় বছরের শিশু ঈশিতা সানার মৃত্যু হয়। সে মহেন্দ্র নাথ সানার ছোট মেয়ে। পরিবারের সদস্যরা জানান, বড় বোন মমতা সানার (৪) সঙ্গে বাড়ির পাশের পুকুরে গেলে অসাবধানতাবশত ঈশিতা পানিতে পড়ে যায়। বোন তাকে তুলতে না পেরে বাড়িতে খবর দেয়। পরে মা ও স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার ইন্দ্রনগর গ্রামে মো. সিরাজুল ইসলামের মেয়ে লামিসা খাতুন (১৯ মাস) পানিতে ডুবে মারা যায়। সোমবার দুপুরে বাড়িতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির উঠানের পাশের পুকুর থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বাদ মাগরিব জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
একই দিনে সাতক্ষীরার পাঁচ উপজেলায় পানিতে ডুবে এক কিশোর ও চার শিশুর মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।





