একইসঙ্গে কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৪১ হাজার কিউসেক পানি হ্রদ থেকে বের করা হচ্ছে প্রতি সেকেন্ড। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় গেট খোলার পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, গেল কয়েক দিনের থেমে থেমে বৃষ্টি আর উজানের ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
এর আগে চলতি মৌসুমে প্রথম দফায় গেল ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টায় একইভাবে ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেয়া হয়। তবুও পানি বাড়ায় পরে ধাপে ধাপে দেড় ফুট, আড়াই ফুট এবং সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ ফুট পর্যন্ত জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছিল।
৭ দিন পরে পানির উচ্চতা কমে আসলে ১২ আগস্ট সকাল নয়টায় সব জলকপাট বন্ধ করে দেয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় গেল ২০ আগস্ট রাত ৮ টায় কেন্দ্রের ১৬টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খোলা হয়। সবশেষে আজ তৃতীয় দফায় আবারও জলকপাটগুলো খুলে দেয়া হয়েছে।
কাপ্তাই লেকের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট। পানির উচ্চতা ১০৮ ফুট হলেই বিপৎসীমা হিসেবে ধরা হয়। তবে আজ (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটায় হ্রদের পানির উচ্চতা দাঁড়ায় ১০৮.৬৪ ফুট। এই পরিস্থিতিতে পানির উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৬টি জলকপাট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাঁধ কর্তৃপক্ষ।





