ভেড়ামারায় পদ্মার তীব্র ভাঙন; হুমকিতে বাঁধ ও হাজারো মানুষ

পদ্মার তীব্র ভাঙন
পদ্মার তীব্র ভাঙন | ছবি: এখন টিভি
0

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। গেল এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়াসহ আশপাশের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, হুমকির মুখে বিভিন্ন স্থাপনা ও নদী প্রতিরক্ষা বাঁধও। নির্ঘুম ও আতঙ্কে দিন কাটছে নদীপাড়ের দশ হাজার মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয়রা জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানি, অতিবৃষ্টি আর নদীর প্রবল স্রোতের কারণে কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে তারা। আর ভাঙনে প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি। বিশেষ করে ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া, ১২ মাইল টিকটিকিপাড়া ও মসলেমপুরসহ আশপাশের প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।

এতে হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বসতভিটা, বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসহ পদ্মা নদী প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ। এমন ভাঙনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী পাড় এলাকার মানুষ। তাই অবিলম্বে ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি নদীর পাড়ে মানববন্ধনও করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসি। নতুন করে আর কোনো আশ্বাস নয়, দ্রুত ভাঙন রোধে স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ নিতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে দাবি নদী পাড়ের বাসিন্দাদের।

কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন, ‘তালবাড়ীয়া থেকে নয় কিলোমিটার ভাঙন স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে এক হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প চলমান রয়েছে। বাহিরচর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া ও টিকটিকি পাড়া এবং এর আশপাশের এলাকায় রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কারণে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে এরইমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।’

বরাদ্দ পেলেই এসব এলাকায় ভাঙনরোধে দ্রুতই কাজ শুরু হবে বলে তিনি।

এসএস