গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন শিশুটির মা মিতা খাতুন (২৫), তার পরকীয়া প্রেমিক ও চাচাতো ভাই সেরেবুল ইসলাম (২৮), চাচা সাইদুল ইসলাম (৫০) এবং ভাবি চাঁদনী খাতুন (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় আট মাস আগে দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি এলাকার রাজু নামে এক ব্যক্তির সাথে মিতার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে জন্ম নেয় জান্নাতি নামে একটি কন্যাশিশু। কিন্তু দাম্পত্য কলহের জেরে মিতা সন্তানসহ বাবার বাড়িতে চলে আসে। সেখানেই অবস্থানকালে মিতা তার চাচাতো ভাই সেরেবুল ইসলামের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।
শিশুটিকে কেন্দ্র করে মিতা ও তার প্রেমিকের মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়। একপর্যায়ে তারা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। ২৫ মে মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশে বরিশাল খালে ফেলে দেয়। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মিতার স্বামী রাজুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান যে, তিনি শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে গেছেন।
একই রাতে তিনি মিরপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অবশেষে মিতা খাতুন হত্যার বিষয় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়েছে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জবানবন্দিতে শিশুটির মা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তাদের বাড়ির পাশে জিকে খাল থেকে ওই শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িত থাকায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে মাধ্যমে গ্রেপ্তারকৃতদের কারাগারে পাঠানো হবে।