এসময় দেশব্যাপী ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে ‘চল যাই যুদ্ধ, ধর্ষকের বিরুদ্ধে’, ‘তুমি কে, আমি কে? আছিয়া আছিয়া’, ‘আমার সোনার বাংলায় ধর্ষকের ঠাঁই নাই’, ‘দড়ি লাগলে দড়ি নে, ধর্ষকদের ফাঁসি দে’ সহ নানা স্লোগানে ধর্ষকদের শাস্তির দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী মুশফিকা তাসফি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের প্রতিনিধি ওসমান গনী রাসেল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র প্রতিনিধি আবদুল কাইয়ুম সোহাগ, আবদুল আজিজ,কাজী আল আমিন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য আজিজুর রহমান রেজভী প্রমুখ।
এর আগে ধর্ষকের সর্বনিম্ন শাস্তি ফাঁসির দাবিতে ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে কামরুল ইসলাম রাহিম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ধর্ষকরা সমাজের নিকৃষ্টতম অপরাধী। তাদের কার্যকলাপ শুধু একটি ব্যক্তির জীবন নয়, পুরো সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তা নষ্ট করে।
গোটা বাংলাদেশই যেনো আজ আছিয়া। সৃষ্টিকর্তার কাছে আর্জি, আছিয়া সুস্থ হয়ে উঠুক। আছিয়ার ঘটনা এদেশে ধর্ষণের ইতি টানুক। ধর্ষণের শাস্তিগুলো কাগজ থেকে বের হয়ে কার্যকর হোক।ফাঁসি হবে ধর্ষকের সর্বনিম্ন শাস্তি এইটাই দাবি তাদের।
রাতুল নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন,আমার মা, আমার বোন-কেউই নিরাপদ নয়। ছোট্ট শিশু আছিয়া, যে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছিল, আজ সে হিংস্র ধর্ষকদের থাবায় মৃত্যুর সঙ্গে হাসপাতালে লড়াই করছে। আমরা চাই, বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বনিম্ন শাস্তি ফাঁসি নিশ্চিত করা হোক।
নূর জাহান কাওসার সাইমুন নামের অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, বাংলাদেশে দিনদিন ধর্ষণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ধর্ষকদের কোনো শাস্তি হচ্ছে না। আমরা সবাই চাই ধর্ষকদের সর্বনিম্ন শাস্তি হবে ফাঁসি।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন ফেনী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও ফেনী ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।