দুদকের নোটিশপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন—সাবেক এমপি মো. আবু জাহির, তার স্ত্রী ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলেয়া আক্তার, মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তি, ছেলে ইফাত জামিল, ছোট ভাই মো. আল আমিন এবং মো. বদরুল আলম।
নোটিশে বলা হয়, নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও আয়ের উৎসের বিস্তারিত বিবরণ আগামী ২১ দিনের মধ্যে দুদক হবিগঞ্জ কার্যালয়ে দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিবরণী দাখিল না করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ধারা ২৬(২) মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. এরশাদ মিয়া বলেন, ‘নোটিশপ্রাপ্ত ছয় ব্যক্তি আত্মগোপনে থাকায় তাদের বাসার সামনে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করলে কমিশন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।’
প্রসঙ্গত, গত ২২ জানুয়ারি দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হবিগঞ্জের স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক জেসমিন আরা বেগম সাবেক এমপি আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১০ কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৪ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের আদেশ দেন।
এসব সম্পদের মধ্যে বাড়ি, গাড়ি ও জমি রয়েছে, যা মো. আবু জাহির, তার স্ত্রী আলেয়া আক্তার, ছেলে ইফাত জামিল, মেয়ে আরিফা আক্তার মুক্তি ও ছোট ভাই বদরুল আলমের নামে রয়েছে।
দুদকের অভিযোগ, এই সম্পদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জিত হয়েছে। গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে সাবেক এমপি আবু জাহির ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় অনুপস্থিত বলে জানা গেছে।





