বাজেট ২০২৪-২৫
কর্পোরেট

বাজেটে প্রণোদনা স্থগিত অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাস্তবায়নে বাধা: মেঘনা গ্রুপ

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পূর্বের অনেক প্রণোদনা স্থগিত করেছে সরকার, যা বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাস্তবায়ন ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছে শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। আজ (সোমবার, ১০ জুন) প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশে পরিকল্পিত শিল্পায়নের বিকাশে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ বাস্তবায়নের জন্য বেসরকারি খাতে অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দেয়া হয়। এর ফলশ্রুতিতে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ তিনটি ইকোনমিক জোনের বাস্তবায়ন সফল বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছে। পাশাপাশি আরও একটি জোন বাস্তবায়নাধীন। তিনটি জোনে দেশি-বিদেশি ৩৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে এবং সেখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কর অবকাশ ও অন্যান্য সুবিধাদি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিপরীতে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ইকোনমিক জোন কিছু দাবি জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত দাবিগুলো তুলে ধরা হলো-

বর্তমানে এস.আর.ও. নং ১০৪-আইন/আয়কর/ ২৫ মার্চ, ২০২০ অনুযায়ী বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ (২০১০ সালের ৪২ নং আইন)-এর ধারা ৫-এর অধীন ঘোষিত এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতে স্থাপিত সকল অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত শিল্প ইউনিট ১০ বছরের কর অবকাশ সুবিধা পায়। ৬ জুন ঘোষিত বাজেটে এস.আর.ও নং ১৫৯-আইন/আয়কর- ৩৪/২০২৪, ২৯ মে, ২০২৪ মোতাবেক বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে এই কর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এস, আর, ও নং ২২৭-আইন/আয়কর/২০১৫, ৮ জুলাইয়ের মাধ্যমে একটি ইকোনমিক জোন ডেভেলপারকে বাণিজ্যিক উৎপাদনের তারিখ থেকে মোট ১২ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হয়েছে যা এস, আর, ও নং ১৫৭- আইন/আয়কর-৩২/২০২৪ এর মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছে। 

এস.আর.ও নং ১২৪-আইন/২০২১/১৩/কাস্টমস, ৩ জুন, ২০২১ অনুযায়ী অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প ইউনিট কর্তৃক আমদানিকৃত মূলধনি যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও নির্মাণ উপকরণ আমদানিতে শুল্কাদি অব্যাহতি রয়েছে। যা এস.আর.ও. নং ১৮৪-আইন/২০২৪/৩৬/কাস্টমস ২৯ মে, ২০২৪ মোতাবেক প্রত্যাহার করে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় ১ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে। এতে করে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে।

এস.আর.ও নং ২০৮-আইন/২০১৫/৪৫/কাস্টমস, ১ জুলাই, ২০১৫ অনুযায়ী অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজে ব্যবহার্য পণ্য আমদানিতে উহার ওপর আরোপিত সমুদয় আমদানি শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি, সম্পূরক শুল্ক এবং মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি রয়েছে। যা এস.আর.ও. নং ১৮৫- আইন/২০২৪/৩৭/কাস্টমস ২৯ মে, ২০২৪ মোতাবেক প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে নতুন কোনো অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনে কেউ আগ্রহ দেখাবে না। ফলে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিদেশি বিনিয়োগ ব্যাহত হবে।

এস.আর.ও নং ২১০-আইন/২০১৫/৪৭/কাস্টমস, ১৫ জুলাই, ২০১৫ অনুযায়ী অর্থনৈতিক অঞ্চল- ভুক্ত শিল্প ইউনিট কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ২০০০ সিসি সম্পন্ন ২টি গাড়ি শুল্কমুক্তভাবে আমদানি করতে পারে। কিন্তু এস.আর.ও. নং ১৮৬-আইন/২০২৪/৩৮/কাস্টমস ২৯ মে, ২০২৪ মোতাবেক উক্ত শুল্ক অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করে শুধু কাস্টমস ডিউটি মওকুফ করা হয়েছে। 

এস, আর, ও নং ২৯৯- আইন/আয়কর/২০১৫, ৮ অক্টোবর, ২০১৫ এর মাধ্যমে কোম্পানির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করার তারিখ থেকে ১০ বছরের জন্য লভ্যাংশ, মূলধনি মুনাফা ওপর প্রদেয় কর অব্যাহতি ছিল, যা এস, আর, ও নং ১৫৭- আইন/আয়কর-৩২/২০২৪ এর মাধ্যমে বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ সনের ৪২ নং আইনের ধারা ৫-এর অধীন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কর্তৃক অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষিত ও লাইসেন্স প্রাপ্ত। তাই বেজা কর্তৃক লাইসেন্স প্রদত্ত বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০১০ ধারা ৪ এর উপধারা (গ) তে উল্লিখিত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও উক্ত ধারার অন্যান্য অর্থনৈতিক অঞ্চল-এর ধরনের মধ্যে কোন পার্থক্য করার অবকাশ নাই।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর