১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একদল অফিসারের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে শহিন হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। খালেদা জিয়া তখন দেশের ফার্স্টলেডি ছিলেন। চট্টগ্রাম বিএনপির দুই গ্রুপের কোন্দল মেটাতে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। সার্কিট হাউসে দিনভর বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাতের দিকে সেনা অভিযানে শহিন হন রাষ্ট্রপতি। পরের দিন ২ জুন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয় এবং সংসদ ভবনের উত্তর পাশে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন:
৪৪ বছর পর একই জায়গায় এবার খালেদা জিয়ার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বামী হারানোর পর কোনো প্রাথমিক রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করে দলকে নির্বাচনে বিজয়ী করে রাষ্ট্রক্ষমতায় পৌঁছান। নিজের প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বে তিনি দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন।
তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে সাধারণ জীবন কাটানো সেই গৃহবধু আজ বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক যুগান্তকারী নেত্রী হিসেবে স্মরণীয়। ১৯৮১ সালের সেই দিনে যেমন ঢাকার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাষ্ট্রপতির জানাজায় অংশ নিয়েছিল, ২০২৫ সালের আজও (বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর) মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে লাখো মানুষ খালেদা জিয়ার শেষ বিদায়ে অংশগ্রহণ করেছেন। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ-সংসদ ভবন দক্ষিণ প্লাজা থেকে শুরু করে একদিকে সোবহানবাগ, অন্যদিকে কারওয়ান বাজার; আরেকদিকে বিজয় সরণী, শ্যামলী হয়ে শুধু মানুষ আর মানুষ। যতদূর চোখ যায়, শুধুই মানুষের ঢল।
আরও পড়ুন:
খালেদা জিয়া স্বামীর রাজনৈতিক পরম্পরাকে ধারণ করে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিএনপিকে। তার মৃত্যু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বিশেষ অধ্যায়ের সমাপ্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে তার নামাজে জানাজা দেশের ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি হয়ে থাকবে।





