আজ (মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার জানাজা ও দাফন সংক্রান্ত প্রস্তুতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সেনাবাহিনীর সদস্যও দায়িত্বে থাকবেন বলে জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননার সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হবে। সরকার বিএনপির সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করবে।’
তিনি বলেন, ‘কখন মরদেহবাহী গাড়ি রওনা দেবে তা আমরা জানিয়ে দেবো। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দক্ষিণ প্লাজায় নিয়ে আসা হবে। সেখানে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজায় চিফ অ্যাডভাইজার (প্রধান উপদেষ্টা) থাকবেন, বিএনপির নেতারা থাকবেন, সব অ্যাডভাইজার থাকবেন এবং আমরা আশা করছি অনেক কূটনীতিকও উপস্থিত থাকবেন।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘কালকে জানাজাকে সামনে রেখেই একদিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া তিন দিনের শোক পালন করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘পুলিশের ও সিকিউরিটি এজেন্সির তরফ থেকে প্রত্যেকটি বিষয় রিভিউ করা হয়। কিছুদিন আগে একটি বড় জানাজা হয়েছে, ফলে পুলিশের এবং সিকিউরিটি এজেন্সিগুলোর নিজেদের মধ্যেই কিছু প্রস্তুতি এর মধ্যেই ছিল। কিন্তু এখন আরও বড় আকারে কিভাবে প্রস্তুতি নেয়া যায়, সেই বিষয়ে খুব নিবিড়ভাবে আলোচনা হয়েছে।’
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. শামসুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। সরকার তাকে যে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন, সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তার জানাজার জন্য সরকার সব ধরনের আয়োজন করছে। আমরা আমাদের দলীয় অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব সরকারকে সহায়তা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে সরকার পরিকল্পনা করেছে, আমার মনে হয় আপনাদের সহযোগিতা থাকলে আমরা তার শেষ বিদায়—তিনি সত্যিকার অর্থে যে প্রাপ্য, সেটা দিতে পারব। এটার জন্য দেশবাসী এবং আপনাদের সহযোগিতা আমাদের কাছে অত্যন্ত কাম্য।’





