সংস্কার বাঁচিয়ে রাখতেই যাদের বন্ধু মনে হয়েছে তাদের সঙ্গে সমঝোতা: মঞ্জু

মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু
মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মঞ্জু | ছবি: এখন টিভি
0

সংস্কার বাঁচিয়ে রাখতেই যাদের বন্ধু মনে হয়েছে তাদের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান ও ফেনী-২ আসনে দলীয় প্রার্থী মজিবুর রহমান মঞ্জু।

আজ (সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মনিরা হকের হাতে ফেনী-২ আসনের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াত ইসলামীর সঙ্গে জোটবদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের গণতান্ত্রিক সংস্কার বাঁচিয়ে রাখতেই অধিকতর যাদের আমাদের বন্ধু মনে হয়েছে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতার আলোচনায় সম্পৃক্ত হয়েছি।’

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘কিছু বিষয়ে সমঝোতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে, আরও আলোচনা বাকি আছে। আমাদের কাছে শুধু আসন ভাগাভাগি গুরুত্বপূর্ণ নয়, গণভোটে হ্যাঁ-এর পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করাও বড় অঙ্গীকার।’

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান ও গণতান্ত্রিক সংস্কারের যে আকাঙ্ক্ষা সেটি বাস্তবায়নে আলাদা একটি জোট করেছিলাম। কিন্তু দেখলাম একে একে আমাদের বন্ধুরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছেন। বাধ্য হয়েই জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং আগামী দিনের গণতান্ত্রিক সংস্কার বাঁচিয়ে রাখতেই অধিকতর যাদের আমাদের বন্ধু মনে হয়েছে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক জোট ও আসন সমঝোতার আলোচনায় সম্পৃক্ত হয়েছি।’

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমাদের মধ্যে অনেক দ্বিধাবিভক্তি ও মতভেদ থাকলেও দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের এ অভিপ্রায় ও অঙ্গীকারে যেন ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারি, জনগণের রায় যেন আমাদের পক্ষে আসে সেজন্য কাজ করব। জনগণ যে রায় দিবে আমরা সেটিই মাথা পেতে নেব।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশ এখন খুবই ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এজন্য আমাদের কাছে এখন দেশই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের গুরুত্ব বিবেচনায় নির্বাচনে এ বোঝাপড়া করতে হচ্ছে। জনগণের কাছে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে রাখতে চাই, এখানে আমাদের অন্য স্বার্থ বা আসন নিয়ে ভাগাভাগিকে প্রাধান্য দিচ্ছি না।’

ফেনী-২ আসনে জামায়াতের প্রার্থীর সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে ফেনীর অত্যন্ত জনপ্রিয় লিয়াকত আলী ভূঁইয়া দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। আমাদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে উনি এখানে মনোনয়নপত্র জমা দেননি।’

এতে জোটের আলোচনা ও জুলাই অভ্যুত্থানের অঙ্গীকারের অভিপ্রায়ে যে সমঝোতা সেই জায়গা থেকে আমাকেই এ দায়িত্বটি দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি এটি একটি বড় সেক্রিফাইস।

মঞ্জু বলেন, ‘এ জোটের ভিত্তিতে যেন আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ থেকে আমাদের গণতান্ত্রিক এ অভিযাত্রা এগিয়ে নিতে পারি সেজন্য সকলের সহযোগিতা চাই।’

এর আগে জোট নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের ঢাকা মহানগর নেতা মেসবাহ উদ্দিন সাঈদ, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ ন ম আব্দুর রহিম, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম বাদল, জেলা আহবায়ক মাস্টার আহসানুল্লাহ, এনসিপির জেলা আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, এবি পার্টি জেলার আহবায়ক মাষ্টার আহছান উল্যাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আফলাতুন বাকী, সদস্য সচিব ফজলুল হক, যুগ্ম সদস্যসচিব নজরুল ইসলাম কামরুল, অর্থ সম্পাদক শাহীন সুলতানী, এনসিপির জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট মনসুর আহমদ, যুগ্ম সদস্যসচিব মুহাইমিন তাজিম, বদরুদ্দোজা নোবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজা উদ্দিন সজিব, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিষয়ক সম্পাদক সাইদ অনিসহ গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

এএইচ