শুধু এ হাসপাতালেই নয় এমন চিত্র ফরিদপুর মেডিকেল কলেজসহ জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর।
ফরিদপুর শিশু হাসপাতলে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে শুধু ফরিদপুরের নয় পার্শ্ববর্তী রাজবাড়ী, মাগুরা থেকেও অভিভাবকরা এসেছেন তাদের শিশু বাচ্চাকে নিয়ে। এদের অধিকাংশ নিউমোনিয়া কেউবা ডায়েরিয়া অথবা শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুরের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আব্দুল্লাহ হিস সায়াদ বলেন, ‘শীতের তীব্রতায় জেলা সর্বত্রই বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে এসময় শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হয়। আমরা স্বাভাবিক সমযয়ের চেয়ে এখন রোগীর সংখ্যা পাচ্ছি বেশি। এদের অধিকাংশই নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, ঠান্ডাজনিত রোগ-বালাই নিয়ে অভিভাবকরা আসছেন আমাদের কাছে।’
আরও পড়ুন:
বিশেষজ্ঞ এ চিকিৎসক অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে বেশি। বিশেষ করে শিশুদের ঘরের বাইরে নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এগিয়ে চলতে হবে, উষ্ণ গরম পানি দিয়ে শিশুদের গোসল ও পানি পান করাতে হবে। এরপরও যদি কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়, দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।’
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা জেলার ৯ উপজেলার সব স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দায়িত্ব ওদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি এবং অভিভাবকদের সচেতন করতে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’





